
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের কেন্দ্রস্থলে বাজিরা হাসপাতালের সামনে হঠাৎ করেই একটি বিশাল সিঙ্কহোল সৃষ্টি হয়েছে। এতে ব্যহত হচ্ছে যান চলাচল ও ইউটিলিটি পরিষেবা। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই গর্তটির গভীরতা প্রায় ৫০ মিটার (১৬৪ ফুট) আর আয়তন ৯০০ বর্গমিটার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, হাসপাতালের সামনের সড়কটি আস্তে আস্তে ভেতরে ধসে যাচ্ছে। ভূ-গর্ভস্থ ড্রেন পাইপ থেকে প্রচণ্ড বেগে পানি বের হচ্ছে। ধসে যাওয়া মাটি এর সঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটিও টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
ব্যাংককের বাজিরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা করে, এ অবস্থায় তারা নতুন রোগী ভর্তি করবে না। তবে হাসপাতালের ভেতরে চলমান সেবা চালু রাখা হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গিয়ে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চর্নভিরাকুল। এসময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ভূগর্ভস্থ মেট্রো রেল নির্মাণকাজ থেকে আসা মাটি ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছিল। ভাগ্যক্রমে কোনো প্রাণহানি বা আহতের ঘটনা ঘটেনি।
সিঙ্কহোলের কারণে একটি পাইপ ফেটে গিয়ে পানি ও বিদ্যুৎ লাইন কেটে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকক গভর্নর। তিনি বলেন, হাসপাতালে আপাতত বড় কোনো সমস্যা হয়নি। তবে পাশের পুলিশ স্টেশন এলাকায় পরিস্থিতি এখনো বিপজ্জনক, সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
তবে সিঙ্কহোলের প্রসার থামানো গেছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বিশেষজ্ঞ দল ক্রমাগত মাটি ও অবকাঠামোর নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ করছে। এ ঘটনায় রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকায় বড় ধরনের যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সাময়িকভাবে বন্ধ বিদ্যুৎ, পানি ও টেলিফোন পরিষেবা।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: