
যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজায় মানবিক সংকট মোকাবিলায় জরুরি সহায়তা পৌঁছাতে সব সীমান্ত খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি। মঙ্গলবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাগুলো এই আহ্বান জানায়।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি বলেছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা মোতাবেক গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে দুর্ভিক্ষপীড়িত অঞ্চলটিতে সাহায্য পৌঁছে দিতে সীমান্ত খুলে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
রেড ক্রসের মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান কার্ডন জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, গত কয়েক ঘণ্টা ধরে আইসিআরসি-সহ মানবিক সংস্থাগুলো এটাই দাবি করে আসছে যে-বিপুল পরিমাণ চাহিদার কারণে সবগুলো প্রবেশপথ খোলা রাখা দরকার।
জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থা ওসিএইচএ’র মুখপাত্র জেন্স লেয়ার্কে আরো বলেন, সবগুলো প্রবেশপথ উন্মুক্ত থাকা দরকার। আমাদের সব সীমান্ত খোলা থাকা দরকার।
তিনি জানান, কিছু সীমান্ত আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং গাজার অভ্যন্তরে ট্রাক চলাচলের জন্য রাস্তা পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
গত ২২ আগস্ট জাতিসংঘ গাজায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছিলেন, সেখানে প্রায় ৫ লাখ মানুষ ‘বিপর্যয়কর’ হুমকির মুখে রয়েছে।
আজ লেয়ার্কে বলেন, গাজায় পাঠানোর জন্য জাতিসংঘের কাছে ১ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন ত্রাণসামগ্রী প্রস্তুত রয়েছে।
গত শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় গাজার যুদ্ধবিরতি। এর অংশ হিসেবে গতকাল ২০ জীবিত ও চার মৃত জিম্মির মরদেহ ফেরত দিয়েছে হামাস। অপরদিকে, দখলদার ইসরায়েল দুই হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে।
যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ হবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু দুইদিন যেতে না যেতেই পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: