কারামুক্ত এটিএম আজহারকে সংবর্ধনা, ধন্যবাদ দিলেন ‘জুলাই বিপ্লবীদের’

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৮ মে ২০২৫ ২৩:০৭

ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বলেছেন, ‘আমি আজ স্বাধীন, আমি এখন মুক্ত, আমি এখন স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক।’ কারামুক্তির পর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েই তিনি ধন্যবাদ দিলেন জুলাই অভ্যুত্থানের ‘মহাবিপ্লবী নায়কদের’।

বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। মুক্তি পেয়ে শাহবাগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে সরাসরি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে আজহার কারা তত্ত্বাবধানে ঢাকার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কার্ডিয়াক ব্লকে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

আজহার বলেন, “প্রায় ১৪ বছর কারাগারে থাকার পর আজকে সকালে মুক্তি পেলাম। আমি এখন মুক্ত। আমি এখন স্বাধীন। স্বাধীন দেশে আমি স্বাধীন নাগরিক একজন। ”

আজহার বলেন, “আমি সর্বপ্রথম আমাদের মহান আদালতকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, তারা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় একটা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। এতদিন ন্যায়বিচার ছিল না। আদালতকে ব্যবহার করা হয়েছে। “এইজন্য আশা করি, সামনের দিনগুলোতে আদালত জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী… তারা জনগণ ন্যায়বিচার যাতে পায়, সেই ব্যবস্থায় তারা করবেন।”

তিনি বলেন, “যাদের কারণে আজকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি, সেই ছত্রিশে জুলাই, অর্থাৎ পাঁচই আগস্টের মহাবিপ্লবী নায়কদের আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, আন্দোলন, তাদের মাধ্যমে স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হতে বাধ্য হয়েছিল।

“সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ জানাব এই ক্ষেত্রে ছাত্র সমাজকে। যারা অতীতের অহংকার গর্বকে আবার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। ছাত্র সমাজই রাজপথে নেমে রক্ত ঢেলে এই চৌদ্দ পনেরো বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনগণকের সাথে নিয়ে তারা রাজপথে যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, যার কারণে দম্ভ সব চূর্ণ হয়ে বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছে।”

সেই সঙ্গে ‘দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে’ ধন্যবাদ জানিয়ে এই জামায়াত নেতা বলেন, তারা ‘জনগণের পক্ষ নেয়ার’ কারণেই বাংলাদেশ এ অবস্থায় আসতে সক্ষম হয়েছে।

এ সময় জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২২ অগাস্ট মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন জামায়াতে ইসলামীর তখনকার সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম। তখন থেকেই তিনি কারাগারে ছিলেন।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, নির্যাতনের ছয় ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে ২০১৪ সালে আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৯ সালে প্রথমবার আপিল শুনানি করে সেই রায় বহাল রেখেছিল তখনকার আপিল বেঞ্চ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: