সংগৃহীত ছবি
                                    
পৃথিবী জুড়ে বেড়েই চলেছে ইসলাম ধর্ম ও মুসলিমদের প্রতি ভীতি, বিদ্বেষ ও সংস্কার। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সন্ত্রাসের সঙ্গে ইসলামকে সংজ্ঞায়িত করা হচ্ছে। আর তাই ইসলামোফোবিয়া সৃষ্টির পেছনের প্রধান কারণ গুলো খুঁজে বের করতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে কাতারের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি।
আনাদোলু নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, “বিশ্বব্যাপী ইসলামোফোবিয়া সৃষ্টির ইতিহাস ও চর্চা” শিরোনামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি আগামী শনিবার কাতারে অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানটি ২ দিন ব্যাপি চলবে যেখানে শিক্ষক, আইনপ্রণেতা, সক্রিয় কর্মী ও সাংবাদিকরা উপস্থিত থাকবেন।
জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি কাতারের (জিইউ-কিউ) ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও এই সম্মেলনটির সহ সংগঠক কেরিন ওয়লথার বলেন, “এই জিইউ-কিউ একটি বুদ্ধিবৃত্তিক উদ্দীপক ও রূপান্তরকারী সম্মেলন। যা ইসলামোফোবিয়া সৃষ্টির কারণগুলো গভীরভাবে খতিয়ে দেখা ও তা সমাধানের জন্য অর্থপূর্ণ অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়।”
এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিবর্গ গভীর সংলাপ, সমালোচনা যুক্ত প্রশ্ন উত্থাপন এবং ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে চলমান বিদ্বেষের মূল কারণ অনুসন্ধান করবেন।
আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন মুসলিম সংখ্যালঘুদের নিয়ে কাজ করা ‘ওয়ার্ল্ড ফর অল ফাউন্ডেশনের’ প্রতিষ্ঠাতা ইব্রাহিম রসুল। যিনি বেশ কয়েক বছর ধরে ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর উঁচু করেছেন। আরো উপস্থিত থাকবেন বিখ্যাত থিয়োরিস্ট অ্যান নর্টন সহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক।
জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির এ সম্মেলনকে স্বাগত জানিয়েছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসলামোফোবিয়া নামক সমস্যাটি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য এই সম্মেলনটি একটি উপযুক্ত পদক্ষেপ। কারণ গত কয়েক সপ্তাহে সুইডেন, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডে অবস্থিত মুসলিম দেশগুলোর দূতাবাসের সামনে পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনা ঘটেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারক প্রধান খালিদ ফাতাহ আল খাতের বলেন, “কাতারের বৈদেশিক নীতির আলোচ্যসূচির অংশ হিসেবে, ইসলামোফোবিয়া ও বর্ণবাদ বিরোধী একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।”
অনুষ্ঠান চলাকালে একটি উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকের নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
উল্লেখ্য; এর পূর্বে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে ইসলামোফোবিয়ার ভয়াবহতা তুলে ধরেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। এ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ইসলামোফোবিয়া, বর্ণবাদ, অজ্ঞাতব্যক্তিভীতি পৃথিবী ব্যাপী ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোতে এটি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।”
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: