সংগৃহীত ছবি
                                    
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি হিন্দু বালকের পোস্ট নিয়ে নেপালের নেপালগঞ্জ শহরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। প্রতিবাদে ওই অঞ্চলে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের প্রধান অফিস ভবনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছেন মুসলিমরা। তারা রাস্তায় টায়ারে আগুন ধরিয়ে গাড়ি চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য হিন্দু।
এতে বলা হয়, ওই ঘটনায় হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তা সত্ত্বেও ৪ সেপ্টেম্বর, বুধবার রাত ছিল শান্ত। আরোপ করা হয়েছে কারফিউ। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নেপালগঞ্জ। সেখানে সপ্তাহান্তে এক হিন্দু বালক মুসলিমদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেয়।
মুসলিমদের প্রতিবাদের জবাবে মঙ্গলবার বিশাল র্যালি করে হিন্দু সম্প্রদায়। এ সময় মুসলিমদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ইটপাথর ও বোতল নিক্ষেপ করা হয়। এতে কয়েকজন কমবেশি আহত হন।
৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেল থেকেই রাজধানী কাঠমাণ্ডু থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে নেপালগঞ্জ শহরে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ দেয়া হয়েছে। ওই শহরের পুলিশ প্রধান সন্তোষ রাঠোর বলেন, কর্মকর্তারা ওই শহরে টহল দিচ্ছিলেন। কারফিউ চলাকালে বাড়ির বাইরে বের হওয়া নিষেধ, একসঙ্গে জমায়েত হওয়া নিষেধ।
মঙ্গলবার রাতে, বুধবার সকালে বা পরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি। উভয় পক্ষের মধ্যে আরও সংঘর্ষ এড়াতে লোকজনকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। লোকজনকে জমায়েত হতে বাধা দেয়া হয়েছে। নেপালে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সচরাচর দেখা যায় না। দেশটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ। কয়েক বছর আগে তারা ধর্মনিরপেক্ষতায় ফিরে গেছে। নেপালগঞ্জে মোট জনসংখ্যার প্রায় একতৃতীয়াংশ মুসলিম।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: