সংগৃহীত ছবি
                                    
ইহুদিবাদী ও দখলদার ইসরায়েলের ২০০ জনের বেশি লোককে জিম্মি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলও জানিয়েছে হামাসের হাতে গাজায় তাদের অন্তত ১৯৯ জন বন্দী রয়েছে। এবার এসব বন্দীদের মুক্তির জন্য শর্ত দিয়েছে হামাস।
১৬ অক্টোবর সোমবার হামাসের একজন শীর্ষ নেতা বলেন, ইসরায়েলের কারাগারে থাকা সব ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিলে জিম্মি ইসরায়েলিদের ছাড়া হবে। এ সময় তিনি ইসরায়েলি বন্দীদের মেহমান হিসেবে উল্লেখ করেন। খবর রয়টার্সের।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ করে। এরপর ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সদস্যসহ বহু লোককে বন্দী করে গাজায় নিয়ে যায়। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, গোষ্ঠীটি গাজায় ১৯৯ জনকে জিম্মি করে রেখেছে। অপরদিকে হামাস বলেছে যে, তাদের ২০০ থেকে ২৫০ ইসরায়েলি বন্দী রয়েছে।
হামাসের সাবেক প্রধান খালেদ মেশাল বর্তমানে দোহায় তাদের প্রবাসী অফিসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরায়েলের কারাগারে ৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দী রয়েছে। তাদের সবার মুক্তি চায় হামাস।
২০১১ সালে একজন ইসরায়েলি সেনাকে মুক্ত করে শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছিল ইসরায়েল।
৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ২৮০০ এর বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এখন ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করতে গাজায় স্থল অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে। এই অভিযানের সময় জিম্মিদের মুক্ত করার কাজ করা হবে বলে জানিয়েছে তেল আবিব।
বন্দিদের মধ্যে থাইল্যান্ড ও জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যান্য দেশ তাদের নাগরিকদের নিখোঁজ বলে জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশগুলোর দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে এমন ইসরায়েলিদেরও অপহরণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার হামাস একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে বন্দীদের একজন ফ্রাঙ্কো-ইসরায়েলি মহিলার একটি বিবৃতি দেখানো হয়েছে। তাকে গত সপ্তাহের হামলায় আটক করা হয়েছিল।
হামাসের সশস্ত্র শাখার মুখপাত্র আবু ওবায়দা এক ভিডিওবার্তায় বলেছেন যে, হামাসের হাতে বিভিন্ন জাতীয়তার একদল বন্দী রয়েছে। তারা আমাদের অতিথি এবং আমরা তাদের রক্ষা করতে চাই।'
তিন বলেন, পরিস্থিতি বুঝে আমরা বিভিন্ন জাতীয়তার বন্দীদের মুক্তি দেব।
হামাসের আরেক সিনিয়র কর্মকর্তা মুসা আবু মারজুক সোমবার বলেছেন যে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলার কারণে বিদেশী বন্দীদের মুক্তি দেওয়া যাচ্ছে না।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসারেলের সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত গাজায় ২ হাজার ৮০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।
সূত্র : রয়টার্স
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: