সংগৃহীত ছবি
                                    
বিদেশ থেকে গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কয়েকটি নিয়ম চালু করেছে সৌদি আরবের শ্রম আইন কর্তৃপক্ষ। এছাড়া দেশটিতে বেসরকারি খাতের কর্মীরা একই সঙ্গে দুটি চাকরি করতে পারবেন।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে গালফ নিউজ জানিয়েছে, সৌদি আরবের গার্হস্থ্য শ্রমের দায়িত্বে থাকা সরকারের প্ল্যাটফর্ম মসনদ নতুন এই নিয়মের কথা জানিয়েছে। নতুন নিয়মে গৃহকর্মী নিয়োগের জন্য আবেদন করতে হলে নিয়োগদাতার বয়স অন্তত ২৪ বছর হতে হবে।
নতুন নিয়ম অনুসারে, সৌদি নাগরিক, উপসাগরীয় দেশগুলোর নাগরিক এবং সৌদি পুরুষদের বিদেশি স্ত্রী ও তাদের মা গৃহকর্মী নিয়োগের জন্য ভিসার আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া সৌদি প্রিমিয়াম রেসিডেন্সি পারমিটধারীরাও এ ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগদাতাদের আর্থিক সক্ষমতার বিবেচনা করা হবে।
সৌদি শ্রম কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। গৃহকর্মী ও নিয়োগদাতার অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে জানতে সাহায্য করতে সৌদি আরবের মানব সম্পদ মন্ত্রণালয় মসনদ নামের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। প্ল্যাটফর্মটি ভিসা ইস্যু, নিয়োগ আবেদন এবং নিয়োগদাতা ও কর্মীর মধ্যেকার চুক্তিভিত্তিক সম্পর্ক নির্ধারণ করার মতো সেবা দিয়ে থাকে।
সৌদি আরবে গার্হস্থ্য শ্রমিকদের মধ্যে ধরা হয়- গৃহকর্মী, গাড়ি চালক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, রাঁধুনি, নিরাপত্তাকর্মী, কৃষক, দরজি, গৃহশিক্ষক ও সন্তান দেখাশোনার কর্মী।
এদিকে সৌদি আরবের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, ‘বেসরকারি খাতের কর্মজীবীরা এক সঙ্গে দুটি চাকরি করতে পারবেন।’
মন্ত্রণালয় থেকে আরও বলা হয়েছে, দুটি চাকরি করার ক্ষেত্রে কর্মীকে কর্মসংস্থান চুক্তি এবং চুক্তিতে একসঙ্গে দুটি চাকরি করা নিষেধ আছে কি না তা নিশ্চিত হতে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিধিগুলো যাচাই করে নিতে হবে।
সৌদি আরব সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণ এবং আকর্ষণীয় ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ করে তোলার চেষ্টা করছে।
আগামী বছরে কার্যকর হতে যাওয়া বিধি সংস্কারগুলো চাকরি পরিবর্তন এবং নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়া প্রবাসী কর্মীদের দেশে যাওয়া ও ফিরে আসার ভিসা ইস্যুর বিষয়গুলো নির্ধারণ করবে। এটির আওতায় প্রবাসী কর্মীরা নিয়োগদাতার অনুমতি ছাড়াই সৌদি আরবের বাইরে ভ্রমণ করতে পারবেন।
দেশটির জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন কোটি। এর মধ্যে আড়াই কোটির বেশি সৌদিয়ান। বাকিরা বিদেশি। পৃথিবীর অন্যতম প্রধান সর্বোচ্চ তেল উৎপাদন ও রফতানিকারক এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম হাইড্রোকার্বন মজুদকারি দেশ সৌদি আরব। দেশটিতে বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ। যুক্তরাষ্ট্রের পরই বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে সৌদি আরব থেকে।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: