সংগৃহীত ছবি
                                    
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার। ২৮ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার তিনি গাজার বাসিন্দাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে নববর্ষ উদ্যাপনে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রদর্শন এবং নববর্ষে সংযম ও নম্রতা প্রদর্শনে পাকিস্তানের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আনোয়ারুল হক কাকার।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজাবাসীর শোচনীয় ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করার জন্য পাকিস্তানের সরকার নববর্ষ উপলক্ষ্যে সব ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এ সময় তিনি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রদর্শন এবং নববর্ষে সংযম ও নম্রতা প্রদর্শনে পাকিস্তানের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
কাকার বলেন, ‘গাজা ও পশ্চিমতীরে নিরপরাধ শিশুদের গণহত্যা এবং নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানিরা এবং পুরো মুসলিমবিশ্ব অত্যন্ত ব্যথিত।’
তিনি বলেন, পাকিস্তান প্রত্যেকটি বৈশ্বিক ফোরামে ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশার কথা বলছে এবং ভবিষ্যতেও ইসরাইলি রক্তপাত বন্ধ করতে তা অব্যাহত রাখবে। পাকিস্তান ইতোমধ্যে দুই দফায় ফিলিস্তিনে সহায়তা পাঠিয়েছে। আরও একদফায় সহায়তা পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান ফিলিস্তিনকে সময়মতো সহায়তা এবং গাজার আহতদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য জর্ডান এবং মিশরের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে ২৬ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে নববর্ষের সন্ধ্যায় কোনো ধরনের আতশবাজি কিংবা উদযাপন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ শহর কর্তৃপক্ষ।
শারজাহ পুলিশ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নববর্ষ উদযাপনে এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে। এই নির্দেশনা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে রকেট হামলা চালিয়ে ১২০০ মানুষকে হত্যা করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এ ছাড়া আহত হন আরও ৮ হাজার ৭৩০ জন। এ হামলার জবাবে ওই দিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল। এর পর আড়াই মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও গাজায় নির্বিচার এ হামলা অব্যাহত রেখেছেন ইসরাইলি সেনারা। এ হামলা থেকে মসজিদ, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, আশ্রয়শিবির-কিছুই বাদ যায়নি।
ইসরাইলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ২১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৫৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: