সংগৃহীত ছবি
                                    বিশ্বখ্যাত ইসলামি বক্তা এবং স্কলার জাকির নায়েক পাকিস্তান সরকারের আমন্ত্রণে দেশটিতে সফরে গিয়েছেন। ৩০ সেপ্টেম্বর, সোমবার সকালে তিনি পাকিস্তানের নিউ ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সেখানে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, প্রায় এক মাস থাকার পরিকল্পনা নিয়ে পাকিস্তান গিয়েছেন জাকির নায়েক। তার ছেলে ফারিক নায়েক, যিনি নিজেও একজন ইসলামিক স্কলার, এ সফরে জাকিরের সঙ্গে গিয়েছেন। তার দল টিম জাকির নায়েকের কয়েকজন সদস্যও গিয়েছেন পাকিস্তানে।
জাকির নায়েকের আগমন উপলক্ষে নিউ ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে জারি করা হয়েছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর যুব কর্মসূচির চেয়ারম্যান রানা মাসুদ, দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ আতা-উর-রহমানসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ আমলা তাকে স্বাগত জানান। জাকির নায়েক আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত পাকিস্তানে অবস্থান করবেন।
সোমবার সন্ধ্যায়, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাকির নায়েক। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিজের অ্যাকাউন্ট থেকেই ইসহাক দারের সঙ্গে নিজের ছবি শেয়ার করেন তিনি।
পাকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাকির নায়েক এই সময়ে ইসলামাবাদ, করাচি ও লাহোরে বেশ কয়েকটি আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন। এ ছাড়া, বেশ কয়েকটি মসজিদে তিনি জুমার নামাজেও ইমামতি করবেন তিনি।
ভারতে ধর্মীয় উসকানির মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগ আছে ড. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে। তিনি দেশটির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ঘুরছেন। ভারতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁকে ‘ওয়ান্টেড’ আসামি হিসেবে ঘোষণা করেছে অনেক আগেই।
জাকির নায়েক ২০১৬ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন। সে বছর থেকেই ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির (বর্তমানে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা) প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করে।
সে বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশের রাজধানী জুলাইয়ে ঢাকায় এক সন্ত্রাসী হামলার পর এনআইএ এই পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কারণ, ঢাকায় সেই সন্ত্রাসী আক্রমণে জড়িত থাকা একজন স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি জাকির নায়েকের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত বক্তব্য দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। ভারত তাঁকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ করলেও মালয়েশিয়া এখনো পর্যন্ত তাতে সাড়া দেয়নি।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: