ছবি: সংগৃহীত
                                    খামেনি বলেন, সিরিয়ার দীর্ঘদিনের প্রতাপশালী ব্যক্তি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তেহরান-সমর্থিত প্রতিরোধ অক্ষ ভেঙে গেছে বলে মনে করছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে তাদের এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।
টেলিভিশনে বক্তৃতায় তিনি বলেন, সিরিয়ার পরিস্থিতির আলোকে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠী এবং আমেরিকা অপরাধ করছে। কেউ কেউ তাদের অপরাধে সহায়তা করে আসছে। ফলে তারা ভাবছে যে প্রতিরোধ অক্ষ শেষ হয়ে গেছে। আসলে তারা সম্পূর্ণ ভুল ধারণার মধ্যে রয়েছে।
খামেনি বলেন, আসাদ সরকারকে উৎখাতের কারণে ইরান দুর্বল হবে না।
খামেনিও জোর দিয়ে বলেছেন যে, আল-আসাদের উৎখাত ইরানকে দুর্বল করবে না। ইহুদিবাদীদের ধারণা, তারা সিরিয়ার মধ্য দিয়ে হিজবুল্লাহ বাহিনীকে ঘিরে ফেলতে পারবে। এভাবে করে তাদের নির্মূল করা সম্ভব হবে। কিন্তু বাসবতা হলো ইসরায়েলই নির্মূল হবে।
উল্লেখ্য, বাবা হাফিজ আল বাশারের মৃত্যুর পর ২০০০ সালে বাশার আল আসাদের শাসনকাল শুরু হয়। প্রথমে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তী সময়ে বাবার মতোই কর্তৃত্ববাদী শাসক হয়ে ওঠেন তিনি। বাশার আসাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নের। এর আগে ২০১১ সালে আরব বসন্ত ঘিরে বাশার আসাদের ক্ষমতার মসনদ নড়ে উঠেছিল।
কিন্তু সে যাত্রায় রাশিয়া ও ইরানের সমর্থনে ক্ষমতায় টিকে গিয়েছিলেন বাশার আসাদ। এবার অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। রাশিয়া ও ইরান আগেই তাদের সামরিক উপস্থিতি কমিয়ে ফেলে। এরপরই হায়াত তাহরির আল শামের নেতৃত্বে বিদ্রোহীদের গ্রুপ মাত্র ৩টি শহর দখল করে নেওয়ার পরই দেশ ছেড়ে পালাতে হয় বাশার আসাদকে। গোপনে প্লেনে চড়ে ছাড়তে হয় মাতৃভূমিও।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: