
আজ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। হাজিরা ঈদের আনুষ্ঠানিকতার চেয়ে হজের নির্ধারিত কার্যক্রম নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন। রাতে মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাত যাপনের পর মিনায় ফিরছেন তারা।
শুক্রবার ৬ জুন সকালে তারা মিনার উদ্দেশে রওনা হন, যেখানে আজ তারা পার করবেন হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম দিন। মুজদালিফা থেকে আগের রাতে সংগ্রহ করা হয়েছে প্রয়োজনীয় কঙ্কর। মিনায় পৌঁছে প্রথম দিন শুধুমাত্র বড় জামারাতে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হয়।
এরপর রয়েছে পশু কোরবানির বিধান। অনেক হাজি কোরবানি সম্পন্ন করেন সৌদি সরকারের নির্ধারিত ব্যবস্থাপনায়, যা শেষ হওয়ার পর এসএমএসের মাধ্যমে তাদের জানানো হয়। বার্তা পাওয়ার পরই হাজিরা মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে পবিত্র হয়ে সাধারণ পোশাক পরতে পারেন।
কোরবানি ও হালাল হওয়ার পর হাজিরা মক্কায় ফিরে কাবাঘর তাওয়াফ ও সাঈ আদায় করেন, যা হজের ফরজ অংশ। অনেকে পরে নির্ধারিত সময়ে এ তাওয়াফ আদায় করেন। তাওয়াফ শেষে আবার মিনায় ফিরে থাকতে হয় ১১ ও ১২ জিলহজ পর্যন্ত, যেখানে প্রতিদিন তিনটি জামারাতে (ছোট, মধ্যম ও বড়) সাতটি করে মোট ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হয়।
১০ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত মিনায় অবস্থান সুন্নত হলেও কেউ যদি ১২ তারিখে সূর্যাস্তের আগেই মিনা ত্যাগ করেন, তার জন্য ১৩ তারিখে থাকা বাধ্যতামূলক নয়। তবে সূর্যাস্তের পর থেকে মিনা ত্যাগ না করলে ১৩ তারিখেও মিনায় থাকতে হয় এবং সেদিনও তিনটি জামারাতে সাতটি করে ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হয়।
১৩ জিলহজের পর হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়ে যায়। তবে দেশে ফেরার আগে হাজিদের জন্য কাবা শরিফে বিদায়ী তাওয়াফ (তাওয়াফুল বিদা) আদায় করা জরুরি।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: