
ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান এখন ইসলামি প্রজাতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে যদি সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিহত হন, তাহলে কে হবেন তার উত্তরসূরি? ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইতিমধ্যেই একাধিক শীর্ষ ইরানি সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে। এখন হুঁশিয়ারি দিয়েছে- খামেনিই হতে পারেন পরবর্তী লক্ষ্য।
ইসরায়েল কর্তৃক ইরানের উপর আকস্মিক আক্রমণ চালানোর প্রায় এক সপ্তাহ পর উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে খামেনির পুত্র মোজতাবার প্রভাব বৃদ্ধির খবর প্রকাশিত হচ্ছে - এবং ইসরায়েল তাকে সরিয়ে দিলে তার পিতার উত্তরসূরী হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলি পূর্বে রয়টার্সকে জানিয়েছে, মোজতাবা একজন মধ্যম স্তরের ধর্মীয় নেতা যাকে ইরানের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী মহলে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়, যদিও তার জনসমক্ষে উপস্থিতির অভাব রয়েছে। ওই সূত্রগুলি জানিয়েছে যে তিনি ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এবং তেহরানের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক খেলোয়াড়দের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।
এর আগেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের কর্মকর্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতাকে নির্বাচন নিয়ে ইরানের অভ্যন্তরে একমত না হওয়ায় উত্তরসূরি নির্ধারণ প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে এবং শাসনব্যবস্থার ভেতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। গত বছর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ইরান বিষয়ক বিশ্লেষকরাও বলেছেন, খামেনি নিজে উত্তরাধিকারভিত্তিক নেতৃত্বে বিশ্বাস করেন না। কারণ, ১৯৭৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার পতনের পর ইরানের ইসলামি বিপ্লব এমন উত্তরাধিকার বাতিলের দিকেই অগ্রসর হয়েছিল।
তবুও, ইরানে ধর্মীয় ও সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তঃসম্পর্ক এবং উত্তরসূরি নির্বাচন প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতা ইঙ্গিত দেয় যে খামেনির ছেলে মোজতবা খামেনিকেও সম্ভাব্য পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে একেবারে বাদ দেওয়া যায় না।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: