আজারবাইজানে পুনর্নির্মাণের পর উদ্বোধন হলো আর্মেনীয় দখলে বিধ্বস্ত মসজিদ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৩ জুলাই ২০২৫ ১০:৩২

ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত

আজারবাইজানের আগদাম জেলার গিয়াসলি গ্রামে পুনর্নির্মিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। গত ১৮ জুলাই তিনি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আজারবাইজানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আজারটাকের বরাত দিয়ে নিউজ.এজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের সহকারী আনার আলাকবারভ রাষ্ট্রপ্রধানকে মসজিদের পুনর্গঠনের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৮ মে আগদাম সফরের সময় গিয়াসলি মসজিদ পরিদর্শন করেছিলেন প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ।

গিয়াসলি মসজিদটি কারাবাখ অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক নিদর্শন। আর্মেনিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর দখলদারিত্বকালে মসজিদটি গবাদিপশুর খোঁয়াড় হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। সেই সময়ে মসজিদের ছাদ ও গম্বুজ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়।

আগতাম শহরের এই মসজিদটি নির্মিত হয় ১৯ শতকে। আজারবাইজানের প্রখ্যাত স্থপতি কারবালাই সাফিখান কারাবাগির ডিজাইন অনুসারে ১৮৬৮-৭০ সালের মধ্যে নির্মিত হয় এটি। ১৯৯৩ সালে আর্মেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায় আগদাম শহরটি এবং তখন থেকেই শহরটি সম্পূর্ণরূপে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।

২০২০ সালের দ্বিতীয় নাগোর্নো-কারাবাখ যুদ্ধের পরে আজারবাইজান যখন আগদাম পুনরুদ্ধার করে, তখন থেকেই মসজিদটির পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। পুনর্নির্মাণ কাজ ২০২২ সালে শুরু হয় এবং এটি সম্পূর্ণ হয় ২০২৪ সালের মাঝামাঝি। পুরোনো আর্কাইভ, ছবি ও ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে মূল কাঠামো অক্ষুণ্ন রেখে মসজিদটি পুনর্গঠনের কাজ সম্পন্ন করা হয়।

পুনর্নির্মাণে দক্ষিণ পাশে জোড়া মিনারের অস্তিত্বের ইঙ্গিত পাওয়া একটি ঘূর্ণায়মান সিঁড়ির ভিত্তিতে ঐতিহ্য অনুযায়ী মিনার পুনরায় নির্মাণ করা হয়। ঝুঁকে পড়া পাথরের স্তম্ভ আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে পুনঃস্থাপন করা হয়, মসজিদের গম্বুজ, পাথরের খিলান ও ক্ষতিগ্রস্ত দেয়ালের প্লাস্টার মেরামত করা হয়।

ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়া মিহরাবটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়। বাহিরের পাথরের দেয়ালগুলো রাসায়নিক উপায়ে পরিষ্কার করে পুরোনো পাথরের সংযোগস্থলও মেরামত করা হয়। পাশাপাশি মসজিদ প্রাঙ্গণে সহায়ক অবকাঠামোও নির্মাণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০০১ সাল থেকে গিয়াসলি মসজিদটি আজারবাইজানের মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক স্থানীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ অস্থাবর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্থাপনার তালিকাভুক্ত।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: