ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পাকিস্তানজুড়ে তীব্র আন্দোলন

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৫ আগস্ট ২০২৫ ২৩:১৪

ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানে ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভের তীব্রতা বাড়ছে। রাওয়ালপিন্ডিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, যেখানে বড় ধরনের সমাবেশ এবং বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অংশে পিটিআই (পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ) দলের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু হলেও সরকারের কঠোর পদক্ষেপ তার আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) থেকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পিটিআই সর্বত্র বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছে। ২০২৩ সালের এই দিনে ইমরান খান দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি হন। তাই এই দিনটিকে দল তাদের আন্দোলনের প্রতীকী সূচনা হিসেবে গ্রহণ করেছে। পিটিআই নেতারা জানিয়েছেন, বিক্ষোভ চলবে যতক্ষণ না বর্তমান সরকার উৎখাত হয় এবং তারা তাদের অধিকার আদায় করবে।

পিটিআই নেতা আসাদ কায়সার বলেছেন, দলের প্রাদেশিক ইউনিটগুলোকে মিছিল, গণসচেতনতা কর্মসূচি এবং প্রতিবাদ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেন, পাঞ্জাব ও কাশ্মীর অঞ্চলে নেতাকর্মীদের ওপর ইতোমধ্যেই পুলিশি হয়রানি শুরু হয়েছে। রাওয়ালপিন্ডিতে জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে সব ধরনের সমাবেশ, অবস্থান এবং চারজনের বেশি মানুষের সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে, যা আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

পিটিআই পাঞ্জাব মিডিয়া সেলের প্রধান শায়ান বশির জানান, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রায় ২০০টি অভিযান চালানো হয়েছে এবং অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর শর্তসাপেক্ষে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। পিটিআই লাহোর ও আদিয়ালা জেলের বাইরে বড় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এবং পাঞ্জাবজুড়ে ব্যাপক মিছিল ও র‍্যালির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

পিটিআই নেতা ও সিনেটর আলি জাফর বলেন, ইমরান খান আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, সরকার ও ক্ষমতাশীল মহল ইমরান খান ও তার স্ত্রীর ওপর চাপ প্রয়োগ করছে যাতে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়। যদিও ইমরান খান সংলাপের দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন, রাজনীতিতে সিদ্ধান্ত বদলাতে সময় লাগে না বলেও তিনি জানান।

অন্যদিকে পাঞ্জাবের তথ্যমন্ত্রী আজমা বোখারী পিটিআইয়ের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, পিটিআই এখন আর একটি রাজনৈতিক দল নয়, বরং একটি ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী, যারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে আঘাত করতে চায়।

তিনি উল্লেখ করেন, একসময় যারা ‘বাস্তব স্বাধীনতা’ চেয়েছিল, এখন তাদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে কোটি কোটি ডলারের বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট কাশ্মীরিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের সময় এই বিক্ষোভ অত্যন্ত দুর্ভিসন্ধিমূলক এবং দুঃখজনক।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: