নাসার সুপারসনিক জেট : সংগৃহীত ছবি
                                    
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে আকাশপথে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন কোনো যাত্রী, রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের পর বিমানে বসে তিনি একটি মুভি দেখা শুরু করলেন। কিন্তু তা শেষ হওয়ার আগেই পৌঁছে গেলেন গন্তব্যে। এই চিত্র এখন অকল্পনীয়। কিন্তু এ অবিশ্বাস্য বিষয়কেই বাস্তবে রূপ দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। খবর ডেইলি এক্সপ্রেসের।
অতি দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বিমান নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি। এখন সাধারণ বিমানে যেখানে প্রায় আট ঘণ্টা সময় লাগে নিউইয়র্ক থেকে লন্ডনে পৌঁছাতে, সেখানে সুপারসনিক ওই বিমান পৌঁছে যাবে মাত্র ৯০ মিনিটে।
সুপারসনিক বলতে শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন বিষয়কে বোঝায়। বিষয়টি মাথায় নিয়ে অনেকটা যুদ্ধবিমানের আদলে তৈরি করা হবে দ্রুতগতির এ বিমান।
এর আগে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে গতিসম্পন্ন যাত্রীবাহী বিমান ছিল কনকর্ড। ১৯৯৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে নিউইয়র্ক থেকে লন্ডনে সেরা ফ্লাইট পরিচালনা করেছিল ফরাসি এবং ব্রিটিশ নির্মিত বিমান সংস্থাটি। ওই ফ্লাইটে কনকর্ডের সময় লেগেছিল মাত্র ২ ঘণ্টা ৫২ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড। কিন্তু নাসার সুপারসনিক ফ্লাইট সেই সময়কেও প্রায় অর্ধেক কমিয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তথ্য বলছে, নিউইয়র্ক থেকে লন্ডনের আকাশপথে দূরত্ব সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটারের বেশি।
সম্প্রতি নাসা জানায়, সুপারসনিক জেট (এমএসিএইচ) মাচ-৪ হয়তো ঘণ্টায় তিন হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পাড়ি দিতে পারবে। আর সংস্থাটির গবেষণা কেন্দ্রের সমীক্ষা বলছে, এই বিমানের এখনই প্রায় ৫০টি রুটে সম্ভাব্য যাত্রী রয়েছে। তারা মূলত ব্যবসায়ী শ্রেণিকে টার্গেট করেই এ পরিকল্পনা করছে।
নাসার হাইপারসনিক টেকনোলজি প্রজেক্টের ম্যানেজার মেরি জো লং-ডেভিস বলেন, সুপারসনিক প্যাসেঞ্জার জেটের উড্ডয়ন ও অবতরণে শব্দ কমানোর ওপর জোর দেওয়া হবে।
সূত্র : ডেইলি এক্সপ্রেস
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: