সংগৃহীত ছবি
                                    ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভুল তথ্য দেয়া হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে এমন চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের একটি সংগঠন। বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের উত্তর- ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়ার ওপর নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন মস্কো সফরে, তখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেইজিংয়ে। একই সময়ে প্রতিবেশী দুই বন্ধু রাষ্ট্রের দুই পরাশক্তি দেশ ভ্রমণকে বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ হিসেবে দেখছেন অনেকে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অস্বস্তির খবরও প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক কিছু গণমাধ্যম।
৯ জুলাই, মঙ্গলবার পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়েও উঠে আসে মোদির রাশিয়া ও শেখ হাসিনার চীন সফর প্রসঙ্গ। সময় সংবাদের প্রতিনিধি বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে, মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার একে স্বাভাবিক ঘটনা বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, মোদির সফর নিয়ে তিনি এর আগেও কথা বলেছেন। এ বিষয়ে আর নতুন করে কিছুই বলার নেয়। যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই সেখানে দুইবার সফর করেছেন। তাই এ নিয়ে তাদের আর কিছুই বলার নেয়।
এদিনের ব্রিফিংয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রসঙ্গও উঠে আসে। সম্প্রতি বাংলাদেশি-আমেরিকানদের নিয়ে গঠিত দ্য কমিটি ফর এ ডেমোক্র্যাটিক বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ঢাকায় আমেরিকান রাষ্ট্রদূতকে একটি চিঠি দেয়া হয়।
যেখানে বলা হয়, ড. ইউনূস সম্পর্কে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভুল তথ্য দেয়া হচ্ছে। আদালত তার বিরুদ্ধে কর না দেয়ার প্রমাণ পেলেও, ড. ইউনূস নিজের দুর্দশার জন্য সরকারকে দোষারোপ করছেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। তথ্য যাচাই না করে বিভিন্ন সময় শান্তিতে নোবেলজয়ীর পক্ষে কথা বলায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সমালোচনাও করে সিডিবি।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হলে, সরাসরি জবাব না দিয়ে গতানুগতিকভাবে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ড. ইউনূসের আইনি প্রক্রিয়ার ওপর নজর রাখছে।
মিলার বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যে মামলা চলছে তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই মামলাগুলো বাংলাদেশের শ্রমআইনের অপব্যবহার এবং ড. ইউনূসকে ভয় দেখানোর কাজে ব্যবহৃত হতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্র কিছু সময় উদ্বেগও প্রকাশ করেছে । বাংলাদেশের প্রধান অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে উদ্বিগ্ন বলে জানান তিনি।
শ্রম ও দুর্নীতিবিরোধী আইনের অপব্যবহার আইনের শাসন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে এবং ভবিষ্যতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগে বাধা দিতে পারে বলেও মন্তব্য করেন ম্যাথিউ মিলার।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: