
ডোনাল্ড ট্রাম্প নয়া শুল্কনীতি ঘোষণার পর জিডিপিসহ অর্থনীতির অন্যান্য সূচক নিয়ে কৌতূহলী ছিল সারা বিশ্ব। বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতিতে দেখা দেয় মন্দার কালো ছায়া।
প্রাথমিক তথ্য বলছে এই বছরের প্রথম কোয়ার্টারে অর্থনীতি শূন্য দশমিক তিন শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ৩০ এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একথা জানায়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর, বিশেষ করে তার নয়া শুল্কনীতি ঘোষণার পর, জিডিপিসহ অন্যান্য অর্থনীতির সূচক নিয়ে কৌতূহলী ছিল সারা বিশ্ব। ট্রাম্পের শুল্কনীতির ঘোষণার পরেই সারা বিশ্ব বাজারে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এই বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব পরেছে অর্থনীতিতেও।
আমেরিকার জিডিপি যেমন মন্দার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তেমনি নিচের দিকে নামছে শেয়ার বাজারের সূচক। অর্থনীতির সূচক ২০২৪-এর শেষভাগেও যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি বেড়েছিল দুই দশমিক চার শতাংশ। ২০২৫-এর শুরুতেই তা ধাক্কা খায় এবং শূন্য দশমিক তিন শতাংশ হ্রাস পায়। বাজারের অনুমান ছিল শূন্য দশমিক চার শতাংশ বৃদ্ধি পাবে অর্থনীতি। বাস্তবে তা অনেকটাই কমেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আমদানিতে বদল, উপভোক্তা ব্যয় এবং সরকারি খরচ কমানোর প্রভাব জিডিপিতে পড়েছে। ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার ওভাল অফিসে প্রবেশের ১০১ দিনের মাথায় এই তথ্যও প্রকাশিত হলো। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ট্রাম্পবিভিন্ন শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেন। সারা পৃথিবীর প্রায় সব দেশের ওপর কম বেশি শুল্ক ধার্য করেন। এপ্রিলে অবশ্য সেই শুল্ক মুলতুবি রাখা হয়।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে আমদানি হ্রাস, এবং ট্রাম্পের শুল্ক চালু হওয়ার ভয়ে ভোগ্যপন্য মজুত রাখার প্রভাব পড়েছে জিডিপিতে। ট্রাম্পের দোষারোপ ট্রাম্প অবশ্য তার স্বকীয় ভঙ্গিতেই এর দায় চাপিয়েছেন পূর্বতন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর। তার সামাজিকমাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ-এ তিনি লেখেন, এটা বাইডেনের স্টক মার্কেট। ট্রাম্পের নয়। আমাদের দেশ উন্নতি করবে। তবে তার আগে বাইডেনের প্রভাব মুছে ফেলতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: