
প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও তাদের এখনো ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়নি। বাংলাদেশ সরকার প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও এর বাস্তবায়ন যেন কোনো বাধায় আটকে না যায়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।
১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আয়োজিত “প্রবাসীদের ভোটাধিকার” শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা বলেন, দেড় কোটি প্রবাসীকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত রেখে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। এখনই সময় প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার।
নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনোয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মমিন মজুমদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু তাহের। আলোচনায় অংশ নেন প্রবাসী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকগণ।
মোজাম্মেল হক বলেন, প্রবাসী ভোটার তালিকার কাজ শুরু হয়েছে। সরকার আন্তরিক, আশা করি আগামী নির্বাচনে প্রবাসীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। এটি তাদের মৌলিক ও দীর্ঘদিনের দাবি।
তিনি আরও বলেন, প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। তারা বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছেন। তিনি প্রবাসীদের আরও বেশি বিনিয়োগে উৎসাহিত করেন।
প্রবাসী নেতা মঞ্জুর আহমেদ বলেন, বিষয়টি এত সহজ নয়। আমেরিকায় যারা বাংলাদেশি পাসপোর্ট সারেন্ডার করে আমেরিকান পাসপোর্ট নিয়েছেন, তাদের ডুয়েল সিটিজেনশিপ নিতে হবে। তবে ভারত, পাকিস্তানসহ অনেক দেশ তাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার দিয়েছে- বাংলাদেশ সরকার চাইলে এটিও সম্ভব।
ড. শওকত আলী বলেন, আবু সাঈদ মুগ্ধদের মতো শহীদদের ত্যাগে আজ আমরা ভোটাধিকার পেয়েছি, তাই তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা আমাদের কর্তব্য।
প্রবন্ধকার আবু তাহের বলেন, দেশে ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৬৩৩ জন ভোটার রয়েছে। তাদের মধ্যে ১ কোটি ২৫ লাখ ভোটার প্রবাসী। এই ১৫ শতাংশ ভোটারকে বাদ রেখে কখনোই একটি ভালো নির্বাচন হতে পারে না। এই ভোটাধিকার প্রয়োগ তাদের মৌলিক অধিকার।
এইচ এম আকতার
নিউ ইয়র্ক থেকে
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: