
গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার আশঙ্কায় ইসরায়েলি সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের ৮০০-র বেশি আইনজীবী, বিচারক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে সোমবার (২৬ মে) পাঠানো এক খোলা চিঠিতে তারা এ দাবি জানান।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘গাজায় গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে অথবা তা সংঘটিত হওয়ার গুরুতর ঝুঁকি রয়েছে।’ একই সঙ্গে সেখানে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথাও বলা হয়েছে।
চিঠিতে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট ও আপিল আদালতের সাবেক বিচারপতিদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইনের বরেণ্য ব্যক্তিদের স্বাক্ষর রয়েছে। এতে ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচের সাম্প্রতিক বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, তিনি গাজার ‘সমগ্র ভূখণ্ড দখলের’, ‘শত্রুমুক্ত করার’ এবং ‘স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার’ ঘোষণা দিয়েছেন। এই বক্তব্য গাজার ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্ব রক্ষায় একটি সরাসরি হুমকি বলেই ব্যাখ্যা করেছেন স্বাক্ষরকারীরা।
চিঠিতে বলা হয়, গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের ধ্বংস ঠেকাতে ‘জরুরি ও দৃঢ় পদক্ষেপ’ নেওয়া আবশ্যক। এ লক্ষ্যে অবিলম্বে, নিঃশর্ত ও স্থায়ী অস্ত্রবিরতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে গাজার মানুষের জন্য ‘জরুরি, নিঃশর্ত ও বাধাহীন মানবিক সহায়তা প্রবাহ’ ফের শুরু করারও দাবি জানানো হয়।
এর আগে, গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের সঙ্গে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তির আলোচনাও স্থগিত করেছে। তবে চিঠিতে বলা হয়, কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক পদক্ষেপের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রমাণ করতে হবে যুক্তরাজ্যকে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: