সংগৃহীত ছবি
                                    যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, নির্যাতন, স্বেচ্ছাচারী আটক, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অভাব, রাজনৈতিক বন্দী, মত প্রকাশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বাধা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অযৌক্তিক বিধিনিষেধ এবং সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী সরকার পরিবর্তনের সুযোগ না থাকাসহ বিভিন্ন ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।
পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, এছাড়া বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ব্যাপকভাবে দায়মুক্তি দেওয়ারও অনেক খবর রয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন, এমন ব্যক্তিদের শনাক্ত ও শাস্তি দিতে গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি বাংলাদেশ সরকার।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকার বা সরকারি সংস্থা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ বিধিবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অনেক খবর রয়েছে। কিন্তু সরকার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে মোট কতজন নিহত হয়েছে, সেই সংখ্যা জানায়নি। আবার এসব ঘটনা তদন্তে বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপও নেয়নি।
তবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বিগত বছরের তুলনায় কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে গুম ও অপহরণের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা ইস্যুতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সংবাদমাধ্যমকর্মী ও ব্লগাররা নানা ধরনের হয়রানি ও প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপের আশঙ্কায় সরকারের সমালোচনার ক্ষেত্রে আত্মনিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। তারপরও সাংবাদিকরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হন।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: