
শুধু নিহত নয়, আহত শিক্ষার্থীদের জন্যও ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছেন অভিভাবকরা। তাদের প্রত্যেককে সরকারের পক্ষ থেকে ১ কোটি ও স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ১ কোটি—মোট ২ কোটি টাকা প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে।
রোববার দুপুরে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের প্রবেশপথে এক ব্রিফিংয়ে অভিভাবকেরা এসব দাবি উপস্থাপন করেন।
এর আগে নিহতদের স্বজনরা ৮ দফা দাবি নিয়ে অধ্যক্ষ ও উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিতে চাইলে কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করেনি।
অভিভাবকদের ৮ দফা দাবি হলো-
১. বিমান দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার।
২. মাইলস্টোনসহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ।
৩. সরকারের পক্ষ থেকে নিহত প্রতি শিক্ষার্থীর পরিবারকে ৫ কোটি এবং আহতদের জন্য ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ।
৪. স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নিহত প্রতি পরিবারকে ২ কোটি এবং আহতদের জন্য ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ।
৫. রানওয়ে সংলগ্ন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্থান পরিবর্তন (অথবা বিকল্প ব্যবস্থা)।
৬. কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগে স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষিকা খাদিজাকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ ও বিচার।
৭. স্কুলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ।
৮. বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জনশূন্য এলাকায় স্থানান্তর।
অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, পূর্ব অনুমতি নিয়েই তারা ক্যাম্পাসে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু দুপুরে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে গেলে নিরাপত্তা প্রহরীরা বাধা দেন। পরে বাধা উপেক্ষা করে কনফারেন্স রুমে অবস্থান নিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে স্মারকলিপি নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অভিভাবকেরা স্মারকলিপি না দিয়েই ফিরে আসেন। এসময় নিহত আফিয়ার মা, ফাতেমার মামা, ফাইজার বাবা, তানভীর আহমেদের বাবা সহ অন্তত ১২-১৫ জন স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল বিকেলে বলেন, ‘আমরা তিন-চারজনের প্রতিনিধিদলকে স্মারকলিপি দিতে বলেছিলাম। কিন্তু অনেক অভিভাবক একসঙ্গে প্রবেশ করায় বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হয়।’
তিনি আরও জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি সহমর্মী এবং তাদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করে বিবেচনা করবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: