দামেশকের রাজপথে আনন্দ উল্লাস

আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারকে স্বাগত জানালো সিরিয়া

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৪ মে ২০২৫ ১৩:০১

ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত

সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এরপর আজ বুধবারই দেশটির বর্তমান অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা’র সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে রিয়াদে। এ খবরে সিরিয়ার জনগণ উল্লাসে ফেটে পড়েছে। তারা রাস্তায় নেচে, গেয়ে, আতশবাজি ফুটিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছে।

এমনকি রাজধানীর কোথাও কোথাও ট্রাম্পের এ ঘোষণাকে সেলিব্রেট করতে গিয়ে ফাঁকা গুলির শব্দ শোনা গেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

এর আগে হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়, মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে ট্রাম্প সৌদি আরবে রয়েছেন। সেখানেই বুধবার সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজি হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞার ফলে সিরিয়ায় ত্রাণসহ বিদেশি যেকোনো আর্থিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ছিল। এর মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ওপর তীব্র চাপ সৃষ্টি করাই ছিল লক্ষ্য।

সৌদি আরবের রিয়াদে বিনিয়োগ বিষয়ক ফোরামে ট্রাম্প বলেছেন, তার নীতির পরিবর্তন সিরিয়াকে একটি বিরাট সুযোগ দেবে। এখন তাদের জ্বলে ওঠার সময়। দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা সানা’র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এই ঘোষণাকে সেলিব্রেট করেছেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল শাইবানি। তিনি বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত তার দেশের জন্য ঘুরে দাঁড়াতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি বলেন, এর ফলে তার দেশ ভবিষ্যতে স্থিতিশীল হবে। আত্মনির্ভরশীল হবে। বছরের পর বছর ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের পর প্রকৃত পুনর্গঠন শুরু হবে।

উল্লেখ্য, সিরিয়ার শতকরা ৯০ ভাগ মানুষই আসাদ সরকারের শেষ নাগাদ বসবাস করেন দারিদ্র্যসীমার নিচে। ডিসেম্বরে পতন হয় বাশার আল আসাদের। তারপর থেকেই এর নতুন সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত বছর শেষের দিকে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আল শারা বলেন, বিশ্বের কাছে এখন সিরিয়া কোনো হুমকি নয়। তিনি বিশ্ববাসীর প্রতি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে আহ্বান জানান। ইসলামপন্থি গ্রুপ তাহরির আল শাম (এইচটিএস) উৎখাত করে আসাদ সরকারকে। এই সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উল্লেখ্য জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, বৃটেন সহ অনেক দেশে সংগঠনটি সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত। কারণ, তারা নিজেদেরকে আল কায়েদার একটি শাখা হিসেবে প্রচার করতে থাকে।

গত সপ্তাহে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন আহমেদ আল শারা। তিনি বলেন, তার দেশের বিরুদ্ধে এইসব নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে আগের শাসকগোষ্ঠীর কারণে। কারণ, তারা অপরাধ করেছে। কিন্তু সেই শাসকগোষ্ঠী চলে গেছে। তিনি জাতিগত সংখালঘুদেরকে সুরক্ষিত রাখার প্রতিশ্রুতিও দেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: