সংগৃহীত ছবি
                                    গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলার ‘নেপথ্যের নায়ক’ হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করেছে ইসরাইল। সিনওয়ারকে হত্যার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন সহজ। আর যুদ্ধবিরতি হলে সৌদি আরবও আর উদ্বেগ জানাবে না।
ইসরাইল সফরে গিয়ে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে এটাই ‘অবিশ্বাস্য সুযোগ’। গাজায় হামাস দুর্বল হয়ে পড়েছে। ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হয়েছে। তাই সৌদি আরবকে কাছে টানতে যুদ্ধ বন্ধ করে এখনই সেরা সময়।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের অতর্কিত হামলার ফলে ইসরাইল-সৌদি আরব সম্পর্ক স্থাপন প্রক্রিয়া থমকে যায়। এর আগে তেল আবিবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বেশ কাছাকাছি ছিল সৌদি আরব। হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা এখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত। ইসরাইলি নিষ্ঠুরতায় নিহত হয়েছে প্রায় ৪৩ হাজার ফিলিস্তিনি। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখেরও বেশি।
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর এ নিয়ে ১১ বার মধ্যপ্রাচ্য সফরে বেরিয়েছেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। আর হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহতের পর প্রথম সফর এটি। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম বলছে, তেল আবিব সফর শেষ করে সৌদি আরব যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন। মনে করা হচ্ছে, সেখানে যুদ্ধবিরতি এবং ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন নিয়ে আলোচনা করবেন।
তবে গাজায় যুদ্ধের আগে এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট পুরোপুরি ভিন্ন। যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা এখনই বলা যাচ্ছে না। আর যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত হলেও গাজায় ধ্বংসলীলা উপেক্ষা করে সৌদি আরব কীভাবে উপেক্ষা করে ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক করবে এটা বড় প্রশ্ন। বিশেষত গাজা পুনর্গঠন, ত্রাণ সহায়তা, বেসামরিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সৌদি আরবের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: