ছবি: সংগৃহীত
                                    পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্থানীয় সময় শনিবার (১ ফেক্রুয়ারি) প্রথম বিদেশ সফরে পানামায় পৌঁছেছেন। পানামা খাল দখল করতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির মধ্যেই রুবিও এ সফর করলেন।
রুবিও এমন সময়ে এ সফর করলেন যখন কানাডা, মেক্সিকো ও চীনে ট্রাম্প শুল্ক আরোপ করেছেন। পানামা থেকে রুবিও অভিবাসী ইস্যুতে লাতিন আমেরিকার আরও চারটি ছোট দেশ সফর করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সাধারণত প্রথমে বড় ও মিত্রদেশগুলোতে সফর করেন। তবে রুবিও ছোট দেশ দিয়ে সফর শুরু করলেন।
ট্রাম্প পানামা খাল দখল করতে সামরিক শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন। ১৯৯৯ সালের দিকে যুক্তরাষ্ট্র পানামা খাল হস্তান্তর করে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল চীন আশপাশের বন্দরগুলোতে বিনিয়োগের মাধ্যমে খুব বেশি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
অভিষেকের ভাষণে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পানামা খাল আবার দখলে নেবে। শুক্রবার ট্রাম্প এ নিয়ে আবার কথা বলেন। তিনি বলেন, তারা এর মধ্যে অনেক কিছু করার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি পানামা খাল ফিরিয়ে নেওয়াই সঠিক।
ট্রাম্পের অভিযোগ, কীভাবে চুক্তিভঙ্গ করেছে তা লুকাতে চীনা ভাষায় লিখিত বিভিন্ন বিষয় মুছে ফেলা হচ্ছে। সাংবাদিকদের ট্রাম্প জানান, পানামার দায়িত্বে যে ভদ্রলোক রয়েছেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছেন মার্কো রুবিও।
পররাষ্ট্র দফতরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, রুবিও পানামা খালও সফরে যাবেন। তিনি পানামার প্রেসিডেন্ট জোস রাউল মুলিনোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। মুলিনো যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র। পানামা খাল দখলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে অভিযোগ করার পর তিনি আলোচনার কথা অস্বীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার মুলিনো বলেন, ‘পানামা খাল নিয়ে আলোচনার পথে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এ নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। এই খাল পানামার।’
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: