২ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মাহমুদ খলিলের মামলার আবেদন

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১১ জুলাই ২০২৫ ১৭:৪৯

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনের সাবেক সংগঠক মাহমুদ খলিল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের দাবিতে আদালতে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন। তাঁকে বেআইনিভাবে আটক করে রাখার অভিযোগে তিনি এই আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি করেন।

গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনে সক্রিয় থাকায় গত ৮ মার্চ মাহমুদ খলিলকে নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের লবি থেকে আটক করেন অভিবাসন কর্মকর্তারা। লুইজিয়ানার জেনা শহরের একটি আটক কেন্দ্রে তাঁকে তিন মাসের বেশি সময় বন্দী করে রাখা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার আদালতে জমা দেওয়া আবেদনে খলিল অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি করেছে এবং বেআইনিভাবে তিন মাসের বেশি সময় ধরে তাঁকে আটক রেখেছে। ওই আবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে বিবাদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাহমুদ খলিল বলেন, ‘তিনি আশা করেন, তাঁর এই আবেদনের মাধ্যমে মানুষ বুঝবে যে ট্রাম্প প্রশাসন আন্দোলনকারীদের ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে দিতে পারে না।’ খলিল আরও বলেন, ‘তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। কারণ, তারা মনে করে, কেউ তাদের কিছু করতে পারবে না। জবাবদিহি না থাকলে লাগামহীনভাবে এমন অন্যায় চলতেই থাকবে।’

মাহমুদ খলিলের আদালতে করা ওই আবেদন ফেডারেল টর্ট ক্লেইমস আইনের আওতায় পূর্ণাঙ্গ মামলায় পরিণত হতে পারে। খলিল বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব শিক্ষার্থী ও অধিকারকর্মীর কথা বলার অধিকার কেড়ে নিতে চান, তাদের সহায়তায় তিনি ওই ক্ষতিপূরণের অর্থ ব্যয় করতে চান।

খলিল আরও বলেন, তিনি চান, ট্রাম্প প্রশাসন যাতে তাঁর কাছে ক্ষমা চায় এবং বিতাড়ন নীতিমালা সংশোধন আনে। বর্তমানে মাহমুদ খলিল নিজেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন। দামেস্কে ফিলিস্তিনি পরিবারে জন্ম নেওয়া মাহমুদ খলিল গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে যে ছাত্র আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, তার অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: