বিবাহিতদের জন্য গ্রিন কার্ড প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন আনলো ইউএসসিআইএস

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৪ আগস্ট ২০২৫ ২১:৫৬

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সেবা বিষয়ক সংস্থা (ইউএসসিআইএস) পরিবার-ভিত্তিক অভিবাসন ভিসা, বিশেষ করে বিবাহ-ভিত্তিক আবেদনের ক্ষেত্রে কঠোর যাচাই-বাছাইয়ের নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। এর মূল লক্ষ্য হলো- ভুয়া দাবি শনাক্ত করে কেবল প্রকৃত সম্পর্ক রয়েছে এমন আবেদনকারীদেরই গ্রিন কার্ড অনুমোদন নিশ্চিত করা।

গত ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়া এই হালনাগাদ নীতিমালা ইউএসসিআইএসের ‘‘ফ্যামিলি বেইজড ইমিগ্রান্টস’’ শিরোনামে যুক্ত হয়েছে এবং আগের করা সব আবেদনসহ নতুন আবেদনেও প্রযোজ্য হবে।

ইউএসসিআইএস জানিয়েছে, ভুয়া বা ভিত্তিহীন পরিবার-ভিত্তিক আবেদন যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার বৈধ পথকে অবিশ্বস্ত করে তোলে এবং পারিবারিক ঐক্য ক্ষুণ্ন করে। সংস্থাটি বলেছে, ‘‘আমরা আমেরিকানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে যারা ক্ষতিকর উদ্দেশ্যে এসেছেন, তাদের চিহ্নিত করে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু করাই আমাদের লক্ষ্য।’’

নতুন নীতিমালার প্রধান পরিবর্তনগুলো:

পরিবার-ভিত্তিক ভিসার যোগ্যতা যাচাই ও অনুমোদন প্রক্রিয়া উন্নত করা

একসঙ্গে তোলা ছবি, যৌথ আর্থিক নথি ও বন্ধু-আত্মীয়দের ঘোষণাপত্র জমা বাধ্যতামূলক

দম্পতিদের সশরীরে সাক্ষাৎকার বাধ্যতামূলক, সম্পর্কের বাস্তবতা যাচাইয়ে

পুরনো আবেদনও পুনঃপর্যালোচনা, বিশেষ করে একই স্পন্সরের একাধিক আবেদন

অন্য ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে থাকা আবেদনকারীদের অভিবাসন ইতিহাসে বাড়তি নজর

আবেদন মঞ্জুর হলেও বহিষ্কারের যোগ্য হলে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু

ইউএসসিআইএস স্পষ্ট করেছে, আবেদন অনুমোদন পেলেই যুক্তরাষ্ট্রে থাকার নিশ্চয়তা মিলবে না। সম্পর্কের সত্যতা প্রমাণে যৌথ ব্যাংক হিসাব, ছবি ও ঘনিষ্ঠদের চিঠি গুরুত্বপূর্ণ হবে। সাক্ষাৎকারে দম্পতির পারস্পরিক জ্ঞান ও সম্পর্কের গভীরতা যাচাই করা হবে।

নীতিমালার পরিবর্তনের পেছনে সাম্প্রতিক ভুয়া বিয়ের ঘটনাগুলোর প্রভাব রয়েছে। সম্প্রতি ভারতীয় নাগরিক আকাশ প্রকাশ মাকওয়ানার ভুয়া বিয়ে করে গ্রিন কার্ড আবেদনের ঘটনা ফাঁস হয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। গত মে মাসে তিনি স্বীকার করেন, জে-১ ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে ভুয়া বিয়ে করেছিলেন এবং ভুয়া নথি দাখিল করেছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: