
জাপানে উচ্চকক্ষ নির্বাচনের ভোট চলছে। রোববার সকাল থেকে শুরু হয়েছে এই ভোট। যা চলবে স্থানীয় সময় রাত ৮টা পর্যন্ত। জনগণের মধ্যে ক্রমাগত অর্থনৈতিক অসন্তোষ বৃদ্ধি ও যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য উচ্চকক্ষের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে পারেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা।
উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ইশিবার দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও তাদের জুনিয়র জোটসঙ্গী কোমিয়েতোকে ৫০টি আসন নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় প্রধানমন্ত্রীত্ব হারাতে পারেন ইশিবা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
সাম্প্রতিক জরিপের তথ্য মতে, উচ্চকক্ষ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হতে পারে এলডিপি জোট। যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক মোকাবিলায় চাপে রয়েছে টোকিও। ওয়াশিংটনের সঙ্গে সমঝোতা করার চেষ্টা করলেও এখনও সফলতা পায়নি ইশিবার প্রশাসন। ফলত উচ্চকক্ষের নির্বাচন ইশিবা ও তার জোটের জন্য চাপ তৈরি করেছে।
এর আগে গত অক্টোবরে নিম্নকক্ষে নির্বাচনেও ইশিবার জোট পরাজিত হয় এবং তাকে সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে হয়। এই নির্বাচনের ফল তার জন্য শেষ ধাক্কা হতে পারে।
ডোশিশা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিশ্লেষক তোরু ইয়োশিদা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ইশিবাকে পদত্যাগ করতে হতে পারে। তিনি আরও বলেন, জাপান এমন এক অজানা পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারে, যেখানে সরকার দুই কক্ষেই সংখ্যালঘু থাকবে। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর কখনো হয়নি।
শিগেরু ইশিবার নেতৃত্বাধীন এলডিপি ১৯৫৫ সাল থেকে প্রায় একটানা দেশ পরিচালনা করছে, যদিও নেতৃত্বে বারবার পরিবর্তন হয়েছে। ৬৮ বছর বয়সী ইশিবা নিজেকে একজন প্রতিরক্ষা বিষয়ক ‘অনুরাগী’ ও ট্রেনপ্রেমী হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি গত সেপ্টেম্বরে পঞ্চমবারের চেষ্টায় এলডিপি’র নেতৃত্বে আসেন এবং দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনের ডাক দেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: