১৪৪৬ হিজরি বর্ষে পবিত্র মসজিদুল হারামে সেবা দেওয়া হয়েছে ২ কোটি মুসল্লিকে

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১০ জুলাই ২০২৫ ২২:৫৪

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

পবিত্র হজ ও ওমরা পালন করতে সউদী আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারামে প্রতি বছর লাখো মানুষ আসেন। এদের অনেকেই আধুনিক সেবা, পরিচ্ছন্নতা ও ধর্মীয় নির্দেশনার সুফল ভোগ করেন। সম্প্রতি সউদী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৪৪৬ হিজরি সনে (২০২৪-২৫ খ্রিস্টাব্দ) পবিত্র মসজিদুল হারামে আগত দুই কোটিরও বেশি হাজি ও জিয়ারতকারী উন্নত ও সুশৃঙ্খল সেবা গ্রহণ করেছেন।

সউদী আরবের ‘মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর জেনারেল অথরিটি’ ১৪৪৬ হিজরি সনে (গত এক বছরে) হাজি ও জিয়ারতকারীদের জন্য যেসব সেবা প্রদান করেছে, তার একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই সময়কালে দুই কোটিরও বেশি ইবাদতকারী মসজিদুল হারামে আসেন এবং তাদের অনেকেই সউদী সরকারের আধুনিক ও উন্নত সেবার সুফল পান। এর পেছনে রয়েছে সৌদি ভিশন ২০৩০-এর অংশ হিসেবে পবিত্র স্থানগুলোর অভিজ্ঞতা উন্নত করার প্রতিশ্রুতি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই এক বছরে মসজিদুল হারামে আগত ১৭ মিলিয়নের বেশি মানুষ দিকনির্দেশনা ও গাইডেন্স সেবা পেয়েছেন। তাছাড়া, ৩২ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ কার্ট সেবা (চালক-চালিত হুইলচেয়ার বা যানবাহন) গ্রহণ করেছেন। এ ছাড়াও ২ লাখ ২৭ হাজারের বেশি মানুষ লাগেজ সংরক্ষণের সুবিধা নিয়েছেন।

মসজিদের ভেতরকার পরিষেবার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ‘তাহাল্লুল’ বা চুল কেটে হজ ও ওমরার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার প্রক্রিয়া, যা নিয়েছেন ৫ লাখ ২৫ হাজারের বেশি হাজি। পাশাপাশি ৩৬ লাখ ৬০ হাজারের বেশি জামজমের পানির বোতল বিতরণ করা হয়েছে মুসল্লিদের মাঝে। পরিচ্ছন্নতার দিক থেকেও মসজিদুল হারাম ছিল নজিরবিহীন। পুরো বছরজুড়ে মসজিদের অভ্যন্তর ও বাইরের চত্বর থেকে ৯,৭০০ টনের বেশি বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে, যা মুসল্লিদের স্বস্তি ও স্বাস্থ্য নিশ্চিত করেছে।

সউদী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা পবিত্র দুই মসজিদে আগত হজ ও ওমরাযাত্রীদের অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও মানবিক সেবার সমন্বয়ে উচ্চমানের পরিষেবা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সৌদি ভিশন ২০৩০ অনুসারে, এই ধরনের সেবাগুলোর পরিসর আরও বাড়ানো হবে এবং বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের জন্য হজ ও ওমরার অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ ও সম্মানজনক করে তোলা হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: