এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত : দুর্ঘটনা ঠেকাতে ৫০ মিনিট আলোচনা করেন পাইলট

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৮ আগস্ট ২০২৫ ১৮:৫১

ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত

ইউএস বিমানবাহিনীর একটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সম্প্রতি আলাস্কার একটি রানওয়েতে ভেঙে পড়ে আগুন ধরে যায়। ঘটনার সময় পাইলটকে প্যারাস্যুট ব্যবহার করে নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।

সিএনএন-এর হাতে আসা এই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—বিমানের নোজ ও প্রধান ল্যান্ডিং গিয়ারের হাইড্রোলিক লাইনে জমে থাকা বরফই দুর্ঘটনার মূল কারণ।

বিমানের টেক-অফের পর ল্যান্ডিং গিয়ার গুটিয়ে না আসায় পাইলট এটিকে আবারও নামাতে গেলে নোজ গিয়ার বাম দিকে বাঁক খেয়ে আটকে যায়। এরপর সমস্যার সমাধান খুঁজতে তিনি প্রায় ৫০ মিনিট ধরে আকাশেই লকহিড মার্টিনের পাঁচজন ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কনফারেন্স কলে যুক্ত ছিলেন। দুইবার ‘টাচ অ্যান্ড গো’ ল্যান্ডিংয়ের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি। এতে পুরো ল্যান্ডিং সিস্টেমই অচল হয়ে পড়ে। কারণ সেন্সর ভেবে নেয় বিমান মাটিতে আছে, ফলে তা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত পাইলটকে বাধ্য হয়ে ইজেক্ট (নিরাপদে বেরিয়ে আসা) করতে হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নোজ ও ডানদিকের ল্যান্ডিং গিয়ারে থাকা তরলের এক-তৃতীয়াংশই ছিল পানিযুক্ত, যা বরফে পরিণত হয়ে মারাত্মক ত্রুটি ঘটে।

এদিকে দুর্ঘটনার ৯ দিন পর একই ঘাঁটিতে আরও একটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানে একই ধরনের সমস্যা দেখা দিলেও সেটি নিরাপদে অবতরণ করেছে। ঘটনার সময় তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিধ্বস্ত বিমানটির তদন্তে বলা হয়েছে, আকাশে দীর্ঘ আলোচনার মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া এবং ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দুর্বলতাও ওই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।

লকহিড মার্টিনের এফ-৩৫ প্রকল্প শুরু থেকেই সমালোচনার মুখে রয়েছে উচ্চ ব্যয় ও উৎপাদন ত্রুটির কারণে। এর দাম ২০২১ সালে ১৩ কোটি ৫৮ লাখ ডলার থাকলেও ২০২৪ সালে তা ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারে নেমে আসে। তারপরও এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ২ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি ছাড়াবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের হিসাব দপ্তর জানিয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: